https://www.emarazzak.blogspot.com

Saturday, July 8, 2017

করুন কাহিনি

এক পত্রিকায় পড়েছিলাম- মেয়ে যেই আদালতের বিচারপতি, বাবা সেই আদালতের সামনে জুতা সেলাই করে!!
বুয়েটে আমার পরিচিত এক ছেলে আছে, তার বাবা সানন্দ বাড়ী বাস স্ট্যান্ডে সাইকেল-রিক্সা ঠিক করে।
তার বাবার সাথে কথা বলার সুযোগ হয়েছিলো, জানা যায় ওই ছেলে লাইফে কোন পরিক্ষায় নাকি ফেল করেনি!
একদিন কয়েকজন মিলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি, হঠাৎ মাঝ বয়সী একজন ব্যাক্তি কাছে এলো। মুখে হাসি, কাঁধে একটি কোদাল আর কোদালের মাঝে ঝুলানো আছে একটি টুকড়ি।
আমাদের পাশে এসে দাঁড়ালেন। কিছুক্ষন পর আমাদের বললেন- "কাজ হবে ভাই? কাজ কাম আছে কিছু?"
আমার পাশের জন প্রায় ক্ষিপ্ত হয়েই তার সাথে যা তা ব্যাবহার করলো। সে যথারীতি হাসি মুখেই দাঁড়িয়ে রইলো।
সবাই চলেও গেলো, সে জায়গাতেই দাঁড়িয়ে রইলো। কিউরিসিটি নিয়েই কাছে গেলাম। জানতে চাইলাম তার সম্পর্কে......
নাম, সোলাইমান। বাড়ি শেরপুর। ১ ছেলে, ২ মেয়ে। এক মেয়ে ময়মনসিংহ কবি নজরুলে পড়ে। ছেলে কলেজে। কথা শুনে বুঝা গেলো, ছেলে মেয়ের পড়ালেখার খরছ জোগানোই তার কাজের মূল উদ্দেশ্য। তাইতো সব ছেড়ে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে কাজ খুঁজে বেড়াচ্ছেন তিনি।
আরেকটা ঘটনা মনে পড়লো
ঢাবিতে ভর্তি পরিক্ষা চলছিলো, এক বন্ধু সহ TSC তে রিক্সা খুজছিলাম। একটা পেলাম, যাবে কিনা জিগ্যাস করাতেই উত্তর এলো 'না'
তাকিয়ে দেখলাম লোকটি কাঁদছে, বললো- "স্যার আইজকা আমার ছাওয়াল এহানে পরিক্ষা দিতাসে, ক্ষানিক বাদেই বাইরাইবো, অরে নিয়া যামু"
Believe it or not, ওই রিক্সাওয়ালার চোখের জলে আমি সার্থকতা দেখেছি https://www.facebook.com/images/emoji.php/v9/e40/1/16/LIKE.png(y)
কাজের সুবাদে আমার প্রায় অনেক জায়গায় যাওয়া হয়। হুবহু কুরবানির গরু বাজারের মতই সোলাইমানদের মত লোকদের বাজার দেখতে পাই। সেই বাজারে তারা সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে থাকে কাজের জন্য।
আর আমাদের সমাজের https://www.facebook.com/images/emoji.php/v9/fcb/1/16/1f641.png:-( Sorry 'সোসাইটির' তথাকথিত বিত্তবানেরা ঠিক কুরবানির গরুর মতই.....i repeat, "কুরবানির গরুর" মতই দেখে শুনে, যাঁচাই বাঁচাই করে নিয়ে যায় কাজ করানোর জন্য।
ওই অচেনা ব্যাক্তিগুলো এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় এসে বদলা দেয়, কুলিগিরি করে, রিক্সা চালায়, জুতা সেলাই করে.....ওই মানুষ গুলোর ভেতরেও লুকিয়ে আছে অনেক স্বপ্নভরা গল্প....
কখনো কি বিত্তবানেরা বা আমরা তাদের কাছে গিয়ে তাদের ভেতরের গল্পটা জানার চেষ্টা করি/করেছি?????
একবার আপনাদের রেল স্টেশনে দেখা হওয়া একজন চাষার কথা বলেছিলাম। যার ছেলে GPA-5 পেয়ে ঢাবিতে চান্স পেয়েছে। অথচ বাবা দিনে মানুষের কাজ করে আর রাতে রেল স্টেশনে ঘুমায়।
ওই চাষা/মুচি খ্যাত মানুষ গুলো আগুনে পুড়ে নিজেরা ছাঁই হয়ে যায় আর তাদের ঘরেই বেশিরভাগ সময় তৈরি হয় সব জ্ঞানী/আলোচিত ব্যাক্তিরা... শুধু আমরাই ওই কামলা/চাষা মানুষ গুলোকে পাত্তা দেইনা....
কবি আসলে ঠিকই বলেছে-
যেখানে দেখিবে ছাঁই,
উড়াইয়া দেখো তাই...
পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন (সংগ্রিহিত)y)

<script async src="https://pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js?client=ca-pub-3386844808323749"
     crossorigin="anonymous"></script>
<!-- emarmethod_sidebar-right-1_AdSense1_200x200_as -->
<ins class="adsbygoogle"
     style="display:inline-block;width:200px;height:200px"
     data-ad-client="ca-pub-3386844808323749"
     data-ad-slot="5090605318"></ins>
<script>
     (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
</script>

1 comment:

Public

Your Secrecy